IELTS প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ রিসোর্সসমূহ

IELTS পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেক সময়েই চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। বাংলাদেশের অনেক ছাত্র-ছাত্রী ভালো স্কোর করতে চান, কিন্তু জানেন না ঠিক কোথা থেকে শুরু করবেন। কিন্তু সঠিক রিসোর্স ব্যবহার করলে প্রস্তুতি অনেক সহজ ও মজার হয়ে উঠতে পারে। এই লেখায় IELTS পরীক্ষার জন্য দরকারি কিছু গুরুত্বপূর্ণ রিসোর্স সম্পর্কে বলা হবে, যেগুলো আপনার প্রস্তুতিকে অনেক শক্তিশালী করবে।

১. IELTS পরীক্ষার ফরম্যাট বোঝা

প্রস্তুতির শুরুতেই পরীক্ষার ফরম্যাট ভালোভাবে বুঝে নেয়া জরুরি। IELTS পরীক্ষায় চারটি অংশ থাকে: Listening, Reading, Writing, এবং Speaking। পরীক্ষার কাঠামো বুঝলে সময়ের ব্যবস্থাপনা করা সহজ হয় এবং কোন অংশে কি ধরনের প্রশ্ন আসবে তা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

বিশেষ করে Listening এবং Speaking অংশ প্রতিদিন অনুশীলন করলে অনেক উপকার হয়। এজন্য নমুনা প্রশ্ন এবং মডেল উত্তর নিয়ে প্রস্তুতি নেয়া উচিত। এতে পরীক্ষার ধরণ সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।

২. অফিসিয়াল IELTS প্র্যাকটিস ম্যাটেরিয়াল

পরীক্ষা নির্মাতাদের তৈরি অফিসিয়াল বই ও অনলাইন ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা উচিত। এগুলো পরীক্ষার সঙ্গে সবচেয়ে মিল আছে। “Official Cambridge Guide to IELTS” এবং “IELTS Practice Tests Plus” বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়।

British Council Bangladesh এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেও অনেক ফ্রি প্র্যাকটিস টেস্ট পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করলে আসল পরীক্ষার মতো অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় এবং প্রস্তুতিতে অনেক সুবিধা হয়।

৩. IELTS প্রস্তুতির জন্য মোবাইল অ্যাপ

বাংলাদেশে প্রায় সবাই মোবাইল ব্যবহার করে, তাই IELTS প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন ফ্রি বা কম খরচের অ্যাপস ব্যবহার করা যায়। British Council এর “IELTS Prep App” এবং “IELTS Practice Band 9” এর মত অ্যাপগুলো ব্যবহার করে যে কেউ যেকোন সময় চর্চা করতে পারে।

এই অ্যাপগুলোতে সাধারণত ভোকাবুলারি, নমুনা প্রশ্ন, এবং স্পিকিং অনুশীলন থাকে। ব্যস্ত দিনে একটু একটু করে পড়াশোনা করতে চাইলে অ্যাপগুলো খুব কাজে লাগে।

৪. অনলাইন কোচিং এবং ইউটিউব চ্যানেল

বাংলাদেশে অনলাইন IELTS কোচিং খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লাইভ ক্লাসে শিক্ষকদের কাছ থেকে সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ পাওয়া যায়, যা অনেক সময় বুঝতে সাহায্য করে।

ফ্রি ইউটিউব চ্যানেল যেমন “Megamind Plus” থেকে অনেক সহজ ভাষায় পরামর্শ ও টিপস পাওয়া যায়।

ভিডিও দেখে উচ্চারণ ও শোনার দক্ষতা বাড়ানো যায়, তাই নিয়মিত ভিডিও দেখা উচিত।

৫. শব্দভান্ডার ও ব্যাকরণ বই

ভোকাবুলারি ও ব্যাকরণ ভালো না হলে IELTS পরীক্ষায় ভালো স্কোর পাওয়া কঠিন। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা “English Vocabulary in Use” এবং “Grammar in Use” এর মতো বইগুলো থেকে অনেক উপকৃত হয়।

নতুন শব্দ মনে রাখতে ফ্ল্যাশকার্ড তৈরি করে নিয়মিত রিভিশন করা প্রয়োজন। IELTS পরীক্ষায় সাধারণত পরিবেশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ও প্রযুক্তি বিষয়ক শব্দ বেশি আসে, তাই এসব বিষয়ের শব্দাবলি শেখা ভালো।

ব্যাকরণ অনুশীলনে সাধারণ বাক্যে ফোকাস করলে সুবিধা হয়, যেমন টেন্স, প্রিপজিশন, এবং বাক্যগঠন।

৬. প্র্যাকটিস টেস্ট এবং মক পরীক্ষা

নিয়মিত প্র্যাকটিস টেস্ট নেওয়া খুবই জরুরি। এতে নিজের দুর্বলতা ও শক্তিশালী দিকগুলো বুঝতে সহজ হয়। Megamind Plus, IDP-এর অফিসিয়াল অথরাইজড ভেন্যু, যেখানে Mock Test দেওয়া হয় এবং যা আসল পরীক্ষার পরিবেশের মতো হয়।

মক পরীক্ষা থেকে পরীক্ষার চাপ সামলানো এবং সময় ব্যবস্থাপনায় পারদর্শী হওয়া যায়। টাইমার ব্যবহার করে পরীক্ষার অনুশীলন করা উচিত।

বই, অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে অনেক প্র্যাকটিস টেস্ট পাওয়া যায়। পুরো পরীক্ষা শেষ করার চেষ্টা করলে প্রস্তুতির স্তর বুঝতে সুবিধা হয়।

৭. স্টাডি গ্রুপ বা ফোরামে যোগ দেয়া

একলা পড়াশোনা অনেক সময় একঘেয়েমি লাগে। তাই স্টাডি গ্রুপ বা অনলাইন ফোরামে যোগ দিয়ে অন্যদের সাথে আলোচনা করা ভালো।

বাংলাদেশে অনেকেই ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ করে রিসোর্স শেয়ার করে এবং পরামর্শ নেয়। এতে পড়াশোনার মনোবল থাকে এবং নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে।

বাংলাদেশের অনেক ছাত্র-ছাত্রী এই উপায়গুলো অনুসরণ করে সফল হয়েছেন। আপনি যদি ধারাবাহিকভাবে পড়াশোনা করেন, তবে IELTS-এ ভালো ফলাফল পাওয়া নিশ্চিত।

আজ থেকেই প্রস্তুতি শুরু করুন, আর মজার সঙ্গে শিখুন ইংরেজি!

Leave a Reply